ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শহরে দারিদ্র্য বেড়েছে, কমেছে গ্রামে: সানেমের গবেষণা ৭ সদস্যের কমিটি গঠন মাদরাসা শিক্ষকদের বদলি নীতিমালায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে পাবনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ব্যাপক গণসংযোগ নেতা–কর্মীদের কারাগারে রেখে তামাশার নির্বাচন করা হচ্ছে: এবি পার্টি ১৭ দিন পর সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ৪১ শ্রমিক জীবিত উদ্ধার অনুমতি ছাড়াই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির মহোৎসব পাবনার গয়েশপুরে প্রিন্সকে আ: লীগ দলের মনোনয়ন দেয়ায় গয়েশপুরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী চাটমোহরে জাতীয় যুব দিবস পালিত প্রাথমিক শেষ না হতেই শিশু শ্রমিক!

প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৬:০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে লাভবান হচ্ছে নারী ও শিশুরা।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা থেকে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করেছিল।’

রবিবার রাজধানীর একটি হোটেল দ্বিতীয় জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিশ্বস্ত দেশ গড়ায় যখন হাত দেন তখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন। তখন আমাদের দেশে কোনো রিজার্ভ ছিল না। আমি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলি। এসময় দেশে বিভিন্ন মেডিকেলে জনশক্তি ও নিয়োগ দেওয়া হয়। আওয়ামী সরকার ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করে চার হাজার একযোগে চালু করি। এখান থেকে দেশের ৭০ ভাগ মানুষ চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছে। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। স্বাস্থ্যসেবা থেকে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করে, মানুষের স্বাস্থ্য সেবার দিকে নজর দেয়। এজন্য বিদেশ থেকে পুরস্কারও লাভ করে বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে সেগুলোতে মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ দিয়ে যাচ্ছি‌। এতে বেশি লাভবান হচ্ছেন মা ও শিশুরা। পোলিও নির্মূল করা হয়েছে। এজন্য দেশের মধ্যে মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমেছে। বাংলাদেশের জনসাস্থ্য সেবা সারা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘যারা ল্যাব্রুচি রোগী তারা অনেক সময় আমার কাছে আসতো কিন্তু তাদেরকে আমি কখনো ফিরিয়ে দিইনি। বিভিন্নভাবে সাহায্য-সুবিধা করেছি। তাদেরকে কথা দিয়েছিলাম আমি সরকারে গেলে আপনাদের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করব সেটা আমরা করেছি। ল্যাব্রুচি বা কুষ্ঠ রোগ কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। কুষ্ঠ রোগ শনাক্তে বাংলাদেশ ষষ্ঠ অবস্থানে। জেলা উপজেলায় ও কুষ্ঠ রোগী সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এই স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপকভাবে প্রসার করারও কাজ চলছে। ব্রিটিশ সরকারের আইনের কারণে কুষ্ঠ রোগীরা নিজ অধিকার থেকে বঞ্চিত হতো। সেই আইন বাতিল করেছি, এখন আর তারা নিজে অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। এখন আর পরিবার থেকে শুরু করে কেউ তাদের ঘৃণার চোখে দেখে না। কুষ্ঠ রোগীদের পাশে থেকে তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও মনোবল সৃষ্টি করা দরকার।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো কুসংস্কার থাকলে সেটা দূর করতে হবে, তা না হলে কীভাবে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব?’

এখন আর বাংলাদেশে কোনো কুষ্ঠ রোগী বা প্রতিবন্ধী সন্তানকে অবহেলা করা হয় না। যারা প্রতিবন্ধী তারাও আমাদের সমাজের মানুষ, তাদেরও অধিকার আছে। প্রতিবন্ধী, কুষ্ঠ রোগী ও হিজড়ারা, এ ধরনের কাউকে যদি কেউ চাকরি দেয় সেই প্রতিষ্ঠান করমুক্ত রেয়াত পাবে। কোনো পরিবারে যদি কেউ প্রতিবন্ধী, কুষ্ঠ রোগী, হিজড়া হয় তাদের ফেলে দেয়া উচিত নয়, তারাও পরিবারের অংশ তারাও সম্পত্তির অংশীদার।’

তিনি বলেন, ‘কুষ্ঠ রোগীদের জন্য সব হাসপাতাল আমরা আধুনিকায়ন করেছি। কুষ্ঠ রোগীসহ সবার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আরও পদক্ষেপ নিতে আহ্বান করব। আমাদের দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো যদি কুষ্ঠ রোগীদের জন্য ওষুধ উৎপাদন করে, তাহলে আমরা বিনামূল্যে বা স্বল্প মূল্যে ওষুধ দিতে পারব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে লাভবান হচ্ছে নারী ও শিশুরা।’

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা থেকে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করেছিল।’

রবিবার রাজধানীর একটি হোটেল দ্বিতীয় জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলন-২০২৩ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিশ্বস্ত দেশ গড়ায় যখন হাত দেন তখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন। তখন আমাদের দেশে কোনো রিজার্ভ ছিল না। আমি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলি। এসময় দেশে বিভিন্ন মেডিকেলে জনশক্তি ও নিয়োগ দেওয়া হয়। আওয়ামী সরকার ১০ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করে চার হাজার একযোগে চালু করি। এখান থেকে দেশের ৭০ ভাগ মানুষ চিকিৎসার সুবিধা পাচ্ছে। ২০০১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। স্বাস্থ্যসেবা থেকে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো চালু করে, মানুষের স্বাস্থ্য সেবার দিকে নজর দেয়। এজন্য বিদেশ থেকে পুরস্কারও লাভ করে বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন যেসব স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে সেগুলোতে মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ দিয়ে যাচ্ছি‌। এতে বেশি লাভবান হচ্ছেন মা ও শিশুরা। পোলিও নির্মূল করা হয়েছে। এজন্য দেশের মধ্যে মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমেছে। বাংলাদেশের জনসাস্থ্য সেবা সারা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘যারা ল্যাব্রুচি রোগী তারা অনেক সময় আমার কাছে আসতো কিন্তু তাদেরকে আমি কখনো ফিরিয়ে দিইনি। বিভিন্নভাবে সাহায্য-সুবিধা করেছি। তাদেরকে কথা দিয়েছিলাম আমি সরকারে গেলে আপনাদের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করব সেটা আমরা করেছি। ল্যাব্রুচি বা কুষ্ঠ রোগ কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। কুষ্ঠ রোগ শনাক্তে বাংলাদেশ ষষ্ঠ অবস্থানে। জেলা উপজেলায় ও কুষ্ঠ রোগী সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এই স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপকভাবে প্রসার করারও কাজ চলছে। ব্রিটিশ সরকারের আইনের কারণে কুষ্ঠ রোগীরা নিজ অধিকার থেকে বঞ্চিত হতো। সেই আইন বাতিল করেছি, এখন আর তারা নিজে অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় না। এখন আর পরিবার থেকে শুরু করে কেউ তাদের ঘৃণার চোখে দেখে না। কুষ্ঠ রোগীদের পাশে থেকে তাদের স্বাস্থ্যসেবা ও মনোবল সৃষ্টি করা দরকার।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো কুসংস্কার থাকলে সেটা দূর করতে হবে, তা না হলে কীভাবে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব?’

এখন আর বাংলাদেশে কোনো কুষ্ঠ রোগী বা প্রতিবন্ধী সন্তানকে অবহেলা করা হয় না। যারা প্রতিবন্ধী তারাও আমাদের সমাজের মানুষ, তাদেরও অধিকার আছে। প্রতিবন্ধী, কুষ্ঠ রোগী ও হিজড়ারা, এ ধরনের কাউকে যদি কেউ চাকরি দেয় সেই প্রতিষ্ঠান করমুক্ত রেয়াত পাবে। কোনো পরিবারে যদি কেউ প্রতিবন্ধী, কুষ্ঠ রোগী, হিজড়া হয় তাদের ফেলে দেয়া উচিত নয়, তারাও পরিবারের অংশ তারাও সম্পত্তির অংশীদার।’

তিনি বলেন, ‘কুষ্ঠ রোগীদের জন্য সব হাসপাতাল আমরা আধুনিকায়ন করেছি। কুষ্ঠ রোগীসহ সবার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আরও পদক্ষেপ নিতে আহ্বান করব। আমাদের দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো যদি কুষ্ঠ রোগীদের জন্য ওষুধ উৎপাদন করে, তাহলে আমরা বিনামূল্যে বা স্বল্প মূল্যে ওষুধ দিতে পারব।’